টাঙ্গাইল জেলাস্থ নাগরপুর উপজেলা সদরে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি ৭.০৪ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত। ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট পনেরটি শাখা আছে। ইহা ছাড়া আরো রয়েছে নবম ও দশম শ্রেণি কারিগরি শাখা। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি, ড্রেসমেকিং, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস শাখা বিশিষ্ট । ১৯৯৫ সন থেকে বাংলাদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এস.এস.সি কার্যক্রম চালু রয়েছে। ইংরেজি U আকৃতির চৌদ্দ কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর। বিদ্যালয়ে মোট চারটি পাকা ভবন রয়েছে। ছয় কক্ষ বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস আছে। ইহা ছাড়া প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুইটি বাসা আছে। ২.৬০ একর জমির উপর একটি খেলার মাঠ আছে এবং বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বড় পুকুর আছে। বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে।
মহাকালের যাত্রাপথে ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি নাগরপুরের শিক্ষানুরাগী ত্রিরত্ন কিশোরী চন্দ্র প্রামানিক, যাদবলাল চৌধুরী ও হিরোলাল চৌধুরীমিলে প্রতিষ্ঠা করেন নাগরপুর ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যাপীঠের সুনাম যখন চারদিকে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যালয়টি আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হয়। প্রতিষ্ঠাতা ত্রিরত্ন তখন বিদ্যালয় পরিচালনার বৃহত্তর স্বার্থে নাগরপুরের বিখ্যাত জমিদার রায় বাহাদুর সতীশ চন্দ্র চৌধুরী মহোদয়ের শরণাপন্ন হন এবং অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেন। রায় বাহাদুর সতীশ চন্দ্র চৌধুরীর শ্রদ্ধেয় কাকা জগদিন্দ্র মোহন চৌধুরী এ প্রস্তাবে সম্মত না হয়ে একক মালিকানা লাভের পাল্টা প্রস্তাব দেন। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ত্রিরত্ন নিরুপায় হয়ে অগত্যা জনকল্যাণে শিক্ষাবিস্তারকল্পে নিজ নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে তাঁর হস্তে পূর্ণ দায়িত্বভার সমর্পণ করেন। তিনি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে স্বর্গীয় পিতার নামে প্রতিষ্ঠানের নাম করন করেন নাগরপুর যদুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়। এর পর সরকারি পরিকল্পনা অনুসারে ১৯৭৬ সালের শেষের দিকে এই প্রাচীন বিদ্যাপিঠটি পাইলট স্কিমের অর্ন্তভূক্ত হয়। এ কারণে বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে পাইলট শব্দটি যুক্ত হয়ে যদুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় নাম ধারণ করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি মডেল স্কুল শীর্ষক প্রকল্পে মডেল স্কুলে রুপান্তর হয়েছে।
ছবি | নাম | মোবাইল নং | ই-মেইল |
---|---|---|---|
মো. শফিকুল ইসলাম | 01719118891 | jadunathpilot1@gmail.com |
ছবি | নাম | মোবাইল নং | ই-মেইল |
---|
শ্রেণী মোট ছাত্রী
৬ষ্ঠ ৩৩৩ ৯৪
৭ম ২৬৮ ৭৬
৮ম ২১০ ৬৫
৯ম ১১৮ ৩৬
১০ম ১১৩ ২৪
৯ম (ভোক) ৮০ ১৬
১০ম (ভোক) ৭০ ০৬
সর্বমোট = ১১৯২ জন ৩১৭ জন
|
জে,এস,সি সন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাশের সংখ্যা পাশের হার ২০১০ ১৫১ ১৩৭ ৯০.৭৩% ২০১১ ১৭৭ ১৫১ ৮৫.৩১% এস.এস.সি ২০০৭ ৭১ ৬৪ ৯০.১৪% ২০০৮ ৪০ ৪০ ১০০% ২০০৯ ৬৫ ৫৯ ৯০.৭৭% ২০১০ ৭৭ ৭৫ ৯৭.৪০% ২০১১ ৮৭ ৮৭ ১০০% এস.এস.সি ভোক২০০৭ ৩৯ ২০ ৫১.২৮% ২০০৮ ৭৩ ৬১ ৮৩.৫৬% ২০০৯ ৬৩ ৪১ ৬৫.০৭% ২০১০ ৭৩ ৬৮ ৯৩.১৫% ২০১১ ৮৪ ৭০ ৮৩.৩৩% |
জে এস সি ও এস এস সি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন। ১৯৫৫ এবং ১৯৭১ সনে ঢাকা বোর্ডে যথাক্রমে ১৫ তম ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। জাতীয় আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা ফুটবল ও ত্রিকেট প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে বরাবরই চ্যাম্পিয়ন এবং জেলা পর্যায়ে একাধিক বার রানার আপ এবং ২০১২ সালে ত্রিকেটে জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন। ভলিবলে ১৯৯৬ সালে জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ। আঞ্চলিক পর্যায়ে বাংলা লিং টাইগার ট্রফি ন্যাশনাল স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০০৬ এ অংশ গ্রহণ করে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ -৯৫ বর্ষে ঢাকা অঞ্চলে বৃক্ষরোপণে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও প্রথম স্থান অধিকার করে দু’ বার জাতীয় পুরষ্কার পাবার গৌরব অর্জন করেছে। অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব আফতাব উদ্দিন সাহেব ১৯৯৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে সাবেক প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণ পদক লাভ করেন। বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, সচিব , ডাক্তার প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ পদে কর্মরত ছিলেন/ আছেন। ২০০৫ সনে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করেন। |
জে,এস,সি, এস,এস,সি ও এস.এস.সি (ভোক) পরীক্ষায় শতভাগ ফলাফল অর্জন বজায় রাখা। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন। বিদ্যালয়টি আগামিতে কলেজে রুপান্তর করা।
0
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস