বিদ্যালয়টিতে মোট ২টি ভবন আছে। একটি ভবন পাকা এবং আরেকটি ভবন সেমিপাকা তবে জরাজীর্ন অবস্থা। পাকা ভবনটিতে কক্ষের সংখ্যা-২। সেমিপাকা ভবনটিতে অফিসসহ মোট ৪টি কক্ষ আছে যাহা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষক/ শিক্ষিকা এবং ২৩০ জন শিক্ষার্থী আছে। অত্র বিদ্যালয়ের পাসের হার ১০০% এবং প্রায় বছর বৃত্তি পেয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের সামনে একটি খেলার মাঠ আছে। উওর পাশে একটি জামে মসজিদ এবং দক্ষিণ পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে একটি খীড়াই বিল আছে। বিদ্যালয়টি উপজেলা থেকে ৬ কিঃ মিঃ দক্ষিনে অবস্থিত। যা নাগরপুর-মেঘনা বাজার রাস্তা থেকে ৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে যাওয়ার পর কাঁচা রাস্তায় ১ কিঃ মিঃ পশ্চিমে অবস্থিত। ১ কিঃ মিঃ কাঁচা রাস্তা যাহা ছাত্র-শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য অনুপযোগী। বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীর ইউনির্ফম আছে। বিদ্যালয়ের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে যাহা প্রাকৃতিক শোভা বর্ধন করে। বিদ্যালয়কে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
প্রায় দুইশত বছর পূর্বে পাক ভারত উপমহাদেশে অর্ন্তগত এই বাংলাদেশে আটিয়া পরগনার আন্দিবাড়ী গ্রামে আর্বিভাব হয় একজন মহাপুরুষের, তিনি ছিলেন মরহুম আলহাজ মৌলবী মুহম্মদ আব্দুল আজিজ সাহেব। তিনি ছিলেন ইসলামের ধারক ও বাহক তথা সমাজ সংস্কারক। তাঁরই যোগ্য জ্যেষ্ঠ পুত্র সমাজের নিবেদিত প্রাণ মরহুম মৌলভী মোঃ আব্দুল হালিম সাহেব। তাঁর স্বপ্নছিল দেশেবাসীকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। এই চিন্তা ধারায় ফলশ্রুতিতে ঈসায়ী ১৯২২ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলায় অর্ন্তগত আটিয়া পরগনার আন্দিবাড়ী গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন আন্দিবাড়ী প্রাইমারী স্কুল। এই স্কুল প্রতিষ্ঠায় সর্বোতভাবে সহযোগীতা করেন তৎকালীন টাঙ্গাইল লোকাল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট (পরবর্তীতে পাকিস্তান সংসদের স্পিকার এবং বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরীর পিতা) মরহুম আব্দুল হামিদ চৌধুরী এই বোর্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মৌলভী মুহাম্মদ আব্দুল হালিম সাহেব।
লোকাল বোর্ডের অর্থায়নে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। বিদ্যালয়টি ২য় শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণী পাঠ দান কাজ চলে। জানা যায় ছনের ছাউনিযুক্ত ঘরে পাঠদান কাজ চলে। পরবর্তীতে এটাকে টিনের চৌচালায় উন্নীত করা হয়। ১৯৬৬ সালে উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে আধাপাকা ভবন তৈরী হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্নে প্রধান শিক্ষক ছিলেন মৌলভী মরহুম খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক (যিনি ছিলেন মরহুম বিচার পতি আবু সাইদ চৌধুরীর প্রথম হাতে খড়ির শিক্ষক।) তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত শিক্ষক। প্রাথমিক পর্যায়ে বোর্ড কর্তৃক বিদ্যালয়ের ০৩ (তিন) জন ছাত্র বৃত্তিলাভ করে। এই জন্য লোকাল বোর্ড কর্তৃক অত্র শিক্ষক ন্যাশনাল শিক্ষক হিসাবে পদমর্যাদা লাভ করেন। অতঃপর দীর্ঘ ৪২ বছরের শিক্ষককতার নিবেদন রেখে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
শিশু | ১ম | ২য় | ৩য় | ৪র্থ | ৫ম |
বালক-৯ বালিকা-১০ মোট-১৯ | বালক-৩২ বালিকা-২৬ মোট-৫৮
| বালক-১৪ বালিকা-২৪ মোট-৩৮ | বালক-১৯ বালিকা-২৭ মোট-৪৬ | বালক-২৬ বালিকা-১৮ মোট-৪৪ | বালক-১১ বালিকা-১৪ মোঠ-২৫ |
নাম
| পদবী
| নাম
| পদবী
|
১। মোঃ আব্দুস সামাদ ২। রেজাউল করিম ৩। শহিদুল ইসলাম ৪। মোঃ এজবর আলী ৫। মোঃ আলাউদ্দিন মিঞা
| সভাপতি সহ-সভাপতি সদস্য সদস্য সদস্য
| ৬। মোছাঃ লতিফা আক্তার ৭। মোছাঃ আমিনা আক্তার ৮। মোঃ রোস্তম আলী ৯। রতন কুমার চক্রবর্তী ১০। মোছাঃ পারভীন বেগম ১১। মোছাম্মদ (নূরন্নাহার) ১২। শামছুল আলম
| সদস্য সদস্য সদস্য সদস্য সচিব/প্রঃশিঃ সদস্য শিঃ প্রঃ সদস্য |
বিগত ০৫ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সাধারণ বৃত্তি ০১ জন। ২০০৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সাধারণ বৃত্তি ০২ জন। ২০০৬ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ০১ জন। ২০০৯ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সাধারণ বৃত্তি ০১ জন। ২০১১ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সাধারণ বৃত্তি ০১ জন। ঝরে পড়ার হার ০%, শিশু ভর্তির হার শতভাগ অর্জিত হয়েছে।
সকল পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ নিশ্চিতকরণ। সহপাঠ ক্রমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের দৈহিক, মানসিক, আবেগিক, নান্দনিক, আদ্যত্মিক বিকাশ সাধনে উদ্বৃত্ত করণ। শৃজনশীল প্রদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তোলা। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নত করণ। অবকাঠামোগত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন। উপকরণ সংরক্ষনের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ। ছাত্র-ছাত্রীর সুষম খাদ্য নিশ্চিত করে এমন টিফিনের ব্যবস্থা। ( সরকারী উদ্যেগে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান উন্নয়নের জন্য এক শিফট ভিত্তিক পাঠদান চালুকরণ।) শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য সরকারকে অবহিত করণ। দূরের ছাত্র/ শিক্ষক (ব্যাচেলর)দের জন্য বিদ্যালয়ে আবাসিক হোষ্টেল নিশ্চিতকরণ। শিশুদের জন্য পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে এস.আর.এম এর বইগুলো এবং পাশিপাশি অন্যান্য বইগুলো পাঠের জন্য নিবিড় পরিবেশ সৃষ্টি করা। বিদ্যালয়কে শিশুদের নিকট আকর্ষনীয় ও নিরাপদ পরিবেশ সৃস্টি করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস