উপেন্দ্র সরোবর খনন ১৩৩৮-১৩৪১ বঙ্গাব্দ
কথিত আছে কোন এক জ্যোৎস্না রাতে প্রজাদরদী মানবতাবাদী জমিদার রায় বাহাদুর তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে বৈঠকখানার বাহিরে প্রাণ ভরে জ্যোৎস্না দেখছিলেন। এমন সময় দেখতে পান অদুরে বিল থেকে কতিপয় অজ্ঞাতনামা কুলশীল মহিলা কলসী নিয়ে জল নিচ্ছে। তিনি দৃশ্যটি দেখে কৌতুহল বশতঃ তখনই খবর নিয়ে জানলেন এলাকার অনেকেই সুপেয় পানির অভাবে রাতে বিল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে। বিষয়টি তাঁর মনে খুবই কষ্ট দেয় এবং প্রজাদের এই অমানবিক কষ্ট মোচনের লক্ষ্যে জমিদার রায় বাহাদুর পরের বছরই ১৩৩৮ সালে বিহার থেকে দিঘি খনন বিশেষজ্ঞ এনে মোট ১১ একর জায়গায় সুদৃশ্য এই দিঘি খনন করেন। জনগণের সুবিধার্থে দিঘির চারদিকে সুপ্রসস্ত ১২টি ঘাটলা এবং এখানে সারা বছর স্বচ্ছ পানি নিশ্চিত করার জন্যে ৬টি সুগভীর ইন্দারা (কুয়া) খনন করা হয়। এছাড়া নৈসর্গিক সৌন্দয বৃদ্ধির জন্যে দিঘির চারপাশে লাগানো হয় সুদৃশ্য খেজুর গাছ।
নাগরপুর উপজেলার দর্শনীয় স্থান অনেক
১। উপেন্দ্র সরোবর (দিঘী) এই দিঘীর জমির পরিমান ১১ একর।
২। নাগরপুর জমিদার বাড়ী।
৩। পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী।
৪। শাহ পীরের মাজার
৫। তেবাড়িয়া জামে মসজিদ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস