গয়হাটার মঠ
নির্মাণকাল ঃ ১৮৮২
প্রায় দেড় শতাধিক বৎসর পূর্বে শ্রীকান্ড মুন্সী গয়হাটা জমিদারীর সৃষ্টি করেন। তাঁর স্ত্রী উদয়তারা চৌধুরানী স্বামীর প্রয়াণের পর জমিদারীর কাযভার নিজ হস্তে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মূলতঃ তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। কালী কুমার সেন চৌধুরীকে দত্তক পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে এই কালী কুমার সেন চৌধুরী ১৮৭৯ সালে গয়হাটা উদয়তারা মাইনর স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়সহ বেশ কিছু জনহিতকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর মা উদয়তারা চৌধুরানীর সমাধির উপর নির্মাণ করেন এই সু উচ্চ সমাধি সৌধ। যা স্থানীয়ভাবে গয়হাটার মঠ নামে পরিচিত। এর উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট। স্মৃতিসৌধের ভিতরে শ্বেত পাথরের মহা মূল্যবান প্রায় ১২০ কেজি ওজনের শিবলিঙ্গ ছিল। একাত্তরের পর তা নির্মমভাবে চুরি হয়ে যায়। বিস্ময়কর যে, তারপরও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ সেখানে গভীর ভক্তি ভরে নিয়মিত পূজা অচনা করে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস