বিশেষ কিছু ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে সাধারণভাবে বিভিন্ন জায়গার
নামকরণ বিশেষতঃ প্রাচীন ধারণা থেকে হয়ে থাকে। এর আধুনিক যুক্তিস্বীকৃত কোন ব্যাখ্যা
বিশেষণও পাওয়া যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লোক কথা বা জনশ্রুতির উপুর
নির্ভর করতে হয়। নাগরপুরের নামকরণ
নিয়েও একাধিক লোক- কাহিনী বা জনশ্রুতি প্রচলিত। প্রমত্তা যমুনা
-ধলেশ্বরী বেষ্টিত এক ব’দ্বীপ বিশেষ এই নাগরপুর। জনশ্রুতি এই- সুলতান
মাহমুদশাহ-র শাসন আমলে নাগরপুরের মামুদনগর ছিল তাঁর
রাজধানী। এখানে তাঁর একটি বিশাল এক নৌঘাটি ছিল। শোনা যায় বিদেশী আক্রমনের হাত থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করার জিন্যেই সম্রাট।
মাহমুদ শাহ এই নৌ ঘাটিটি নির্মাণ করেছিলেণ। মামুদনগরে এখনো শেরশাহ-র জঙ্গল, মতিবিবিরি বাগ এবং ১০১টি পুকুরের অস্তিত্ব আঁচ করা যায়। কথিত আছে এক রাতেই পুকুরগুলো খনন করা হয়েছিল। এক সময় বর্তমান চৌহালীর পূর্বাংশ- নাগরপুর এবং দৌলতপুরের অংশ বিশেষে সহ পুরো এলাকা ছিল নদী এলাকা। কালের বিবর্তনে এই এলাকা চর এলাকায় রূপ নেয। চর অঞ্চল হলেও জনপদ সৃষ্টির পূর্বে এখানে প্রচুর বনজঙ্গল ছিল। জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ থাকত। সাপগুলো বিভিন্ন নাগ- নাগিনী নামে পরিচিত ছিল। বিষাক্ত সাপের ভয়ে ভীত থাকত সবাই। মানুষ একা চলতে সাহস করত না। সব সময়ই দলবদ্ধভাবে চলাচল করত। এই সময় ভারতে পুরী থেকে ‘‘ নাগর মিয়া’’ নামে এক বৃদ্ধ এই এলাকায় আসেন। শোনা যায় তিনি ছিলেন অবিবাহিত। এবং প্রকৃত প্রেমিক। সাপ বা সরীসৃপ নিয়েই তিনি জীবন যাপন করতে ভালবাসেন। এই ভালভাসার সূত্র ধরেই ভারতের পুরী থেকে একে একে তার অনেক অনুসারীরা আসতে থাকল এবং এক সময় এ অঞ্চল মানুষের জন্যে ভয় থেকে অভয়ের অঞ্চল হয়ে উঠল। আর এভাবেই নাগরে -নাগরে পূর্ণ হয়ে এলাকার নাম হলো নাগরপুর। অবশ্য এর ভিন্ন মতও দেখা যায়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS